ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ই-পেপার

ইসলামী ব্যাংক বেনামি ঋণ উত্তোলন আটকালো

মার্তৃভূমির খবর ডিজিটাল ডেস্ক
আপলোড সময় : ০৮-০৮-২০২৪ ১০:৩৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ০৮-০৮-২০২৪ ১০:৩৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
ইসলামী ব্যাংক বেনামি ঋণ উত্তোলন আটকালো ফাইল ফটো

সরকার পরিবর্তনের পর বেনামি ঋণের মাধ্যমে অর্থ তুলে নেওয়ার প্রবণতা ঠেকাতে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক পদক্ষেপ নিয়েছে। গত মঙ্গলবার ব্যাংকটি ৮৮৯ কোটি টাকা উত্তোলন চেষ্টা প্রতিহত করেছে। গ্লোডেন স্টার ও টপ টেন ট্রেডিং হাউস নামে দুটি প্রতিষ্ঠান এসব অর্থ উত্তোলনের চেষ্টা করেছিল। সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠান দুটি ব্যাংকের মালিকপক্ষের সঙ্গে যুক্ত।

 

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ইসলামী ব্যাংকে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ২০১৭ সালে মালিকানা পরিবর্তনের পর থেকে বাদ পড়া ও বঞ্চিত কর্মকর্তারা বিক্ষোভ করছেন। তারা মালিকপক্ষের সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছেন। অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) মুহাম্মদ কায়সার আলী পদত্যাগ করেছেন এবং সেনাবাহিনীর সহায়তায় ব্যাংক ত্যাগ করেছেন।

 

২০১৭ সালে এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটির কর্তৃত্ব নেওয়ার পর কায়সার আলী চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক ছিলেন। এস আলম গ্রুপের মদদে তিনি অতিরিক্ত এমডি হন। কর্মকর্তাদের মধ্যে এই পদোন্নতি নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

 

সরকার পরিবর্তনের পর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ব্যাংকে যাচ্ছেন না। এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের ব্যক্তিগত সহকারী ও ব্যাংকের ডিএমডি আকিজ উদ্দিন এবং অন্যান্য কর্মকর্তার নামফলক ক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভেঙে ফেলেছেন।

 

ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে স্বেচ্ছায়, জোরপূর্বক ও বাধ্যতামূলক পদত্যাগে বাধ্য হওয়া কর্মকর্তাদের পদত্যাগপত্র বাতিল করেছে। তাদের দ্রুত ব্যাংকে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখায় সোনালী, জনতা, রূপালী, পূবালী ও সিটি ব্যাংকের পাঁচটি চেক নগদায়নের চেষ্টা করা হয়। গ্লোডেন স্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান ৩৪৬ কোটি টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করে, তবে তা ব্যর্থ হয়। একই দিন টপ টেন ট্রেডিংয়ের ৫৪৮ কোটি টাকার বেনামি ঋণও আটকে দেওয়া হয়।

 

ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে মন্তব্যের জন্য পাওয়া যায়নি। তবে ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, বেনামি ঋণের মাধ্যমে ব্যাংকটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বিপর্যয় আসবে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘নতুন ঋণ দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। নতুন সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার অপেক্ষায় আছি।’

 

এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন সাতটি ব্যাংকের চলতি হিসাব ঋণাত্মক থাকলেও কীভাবে লেনদেন চলছে, তার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ‘সবকিছু এখন নির্ভর করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর। তারা যে নির্দেশনা দেবে, তার আলোকেই কাজ করা হবে।’


নিউজটি আপডেট করেছেন : Matribhumir Khobor

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ